ইদানীং আমাদের মাঝে ভ্রমনের কিংবা ঘুরে-বেরানোর প্রবনতাটা একটু বেশিই দেখা যাচ্ছে। এর পিছনে আজকের এই আধুনিক পৃথিবীর প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যাবস্থার ভূমিকা কিন্তু অবশ্যই আছে, এ দুইয়ের উন্নতির সাথে সাথে আমাদের ভ্রমণের নেশাটাও যেন পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। একটু সু্যোগ মিললেই কাধে ব্যাগ আর হাতে গুগল ম্যাপ নিয়ে আমরা বেরিয়ে পরছি! অজানাকে জানার উদ্দেশ্যেই হোক আর দু-চোঁখ ভরে প্রকৃতি দেখার লোভেই হোক; বাস, ট্রেন কিংবা উড়োজাহাজে বসে চলে যাচ্ছি দূরের কোন গন্তব্যে, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে! সবুজে ঘেরা কোন অরণ্য থেকে নীল গভীর সমুদ্র, কিংবা বিশাল মরুভূমির প্রান্ত থেকে তুষারে ঢাকা কোন পাহাড়, এসব চষে বেরাতে পারলেই যেন মিলবে অন্তর-আত্নার শান্তি!
কিন্তু চাইলেই কি আমরা যে কোন স্থানে, যে কোন জায়গায় চলে যেতে পারি? না, সেটা কিন্তু পারব না! কারন, পৃথিবীতে এমন কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে চাইলেই আমরা প্রবেশ করতে পারব না- এগুলোই হচ্ছে পৃথিবীর নিষিদ্ধতম কিছু জায়গা! গোপনীয়তা রক্ষা, ঐতিহাসিক কিংবা রহস্যেঘেরা যে কোন কারনেই হোক; এসব জায়গা দেখা বা প্রবেশ করা সাধারণ মানুষের জন্য একেবারেই নিষিদ্ধ! আর দেরি না করে চলুন পৃথিবীর এমন নিষিদ্ধ কিছু জায়গার কথাই জেনে আসা যাক।
১০। স্নেক আইল্যান্ড (Snake Island, Brazil)

উপকূল থেকে ২৫ মাইল দূরে ব্রাজিলের সাও-পাওলোতে (Sao Paulo, Brazil) অবস্থিত এই দ্বীপটির নাম থেকেই এর সম্পর্কে একটা ধারণা হয়ে যায়। দ্বীপটির নাম ‘স্নেক আইল্যান্ড’ (Snake Island)! হাজার হাজার বিষাক্ত সাপ দিয়ে ছেয়ে থাকার কারনে স্থানীয়রাও এই দ্বীপের কাছ ঘেষতে সাহস করেনা! এটিই পৃথিবীর একমাত্র জায়গা যেখানে ‘Golden Lance head Viper’ নামের এক কুখ্যাত সাপের বসবাস। এই সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হতে সময় নেয় মাত্র ১ ঘন্টা! কথিত আছে, এই সাপের বিষ এতটাই বিষাক্ত যে এর কামড়ে মানুষের শরীরের মাংস পর্যন্ত গলে যায়! সব মিলিয়ে এই দ্বীপে প্রায় ৫০০০ এরও বেশি বিভিন্ন প্রজাতির বিষাক্ত সাপ রয়েছে যার মধ্যে কুখ্যাত ল্যান্সহেড সাপের সংখ্যাই ৪০০০ এর মত। ১৯২০ সালের দিকে দ্বীপটিতে কিছু মানুষের আসা যাওয়া থাকলেও আশঙ্কাজনক ভাবে সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার বেড়ে গেলে, ব্রাজিলিয়ান সরকার জনসাধারণের জন্য এই দ্বীপে প্রবেশ অবৈধ ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে!
৯। ইন্ডিয়ান সেন্টিনেল দ্বীপ (North Sentinel Island, India)

বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপটি (North Sentinel Island) আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ গুলির মধ্যে একটি। রাজনৈতিকভাবে ইন্ডিয়ার অন্তর্ভুক্ত এই দ্বীপটি বাইরে থেকে দেখতে অসম্ভব সুন্দর যা খুব সহজেই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে। পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করলে কি হবে, এই দ্বীপে বসবাসকারী সেন্টিনেল উপজাতিটি বাইরের পৃথিবীর সাথে সব ধরনের যোগাযোগ সম্পূর্নভাবে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে! এই বিচ্ছিন্নতা রক্ষায় প্রায়শই হিংস্রতম আচরণ করে, এমনকি এই দ্বীপে অনুপ্রবেশকারীদের নৃশংসভাবে হত্যা করতেও এরা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনা! প্রায় ৫০,০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সেন্টিনেল উপজাতিটি এভাবেই এ অঞ্চলে বসবাস করে আসছে বলে শোনা যায়। বাইরের উৎপাত এরা একদমই পছন্দ করেনা, দ্বীপটির আশেপাশে কিছু দেখলেই উপজাতির দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভয়ংকরভাবে তেড়ে আসে। সরকারিভাবেও দ্বীপটিতে পর্যটক কিংবা সাধারণ মানুষের অনুপ্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা আছে!
৮। সালবার্ডের বীজ ভান্ডার (Doomsday Vault, Norway)

নরওয়ের আর্কটিক সালবার্ডের প্রত্যন্ত একটি দ্বীপে অবস্থান এই বীজ ভান্ডারটির (Seed Vault)। বরফে ঢাকা পাহাড়ের মাঝে কিছুটা গোপনভাবে লুকিয়ে রাখা এই জায়গাটি ‘Doomsday Vault’ নামেও পরিচিত! এই জায়গাটির বিশেষত্ব হচ্ছে, এখানে পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের গাছের বীজ সম্পূর্ন সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে এবং প্রতিনিয়তই এখানে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে নতুন নতুন গাছের বীজ সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে! বিশ্বাস করা হয় যে, পৃথিবী যে কোন সময়ই বড় কোন দূর্যোগ কিংবা দূর্ঘটনার মুখোমুখি হতে পারে। ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবীর অনেক কিছুই, সেসব কিছুর মধ্যে আছে আমাদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস গাছ! সে মহাপ্রলয়কে পূনরায় কাটিয়ে ওঠার কথা মাথায় নিয়েই তৈরী করা হয়েছে এই বীজ ভান্ডারটি। গোপন এ জায়গাটিতে কিছু গবেষক ও বিজ্ঞানী ব্যাতীত সাধারন মানুষের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ!
৭। ভ্যাটিকান সিটির গোপন আর্কাইভ (Vatican Secret Archive, Vatican)

দুর্গম কিংবা প্রাণনাশের ভয় আছে এমন কিছু না হলেও ভ্যাটিকান সিটির গোপন এই আর্কাইভটি (Vatican Secret Archive) পৃথিবীর সবচেয়ে নিষিদ্ধতম জায়গাগুলোর মধ্যে একটি! যুগ যুগ ধরেই ভ্যাটিকান সিটি রহস্যের খোঁড়াক হিসেবে ভ্রমনপ্রিয় মানুষেকে আকৃষ্ট করে আসছে, তাছাড়া যীশু খ্রীষ্টের সময়ের আগে থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে এই ভ্যাটিকানরা। ধারণা করা হয়, উল্লেখযোগ্য পুরোন অনেক বই বা নথিপত্র, খ্রীষ্টান, মিশনারি, প্যাগান সহ আরও অনেক ধর্ম আর মতবাদের গোপন ডকুমেন্ট, নানান সব কাগজ আর চিঠিপত্র যুগ যুগ ধরে এখানে সংরক্ষন করা হয়েছে! ১৮৮১ সালের দিকে শুধুমাত্র পোপের অনুমতি সাপেক্ষে খুব কড়া আর সীমাবদ্ধ নিয়মের মধ্যে উঁচুমানের কিছু পন্ডিতকে এখানে প্রবেশ করতে দেয়া হত। সেসব বইতে কি ধরনের তথ্য দেয়া আছে তা আজো সাধারণ মানুষের কাছে এক রহস্য!
৬। কিন শি হুয়াং’র সমাধিস্থল (Tomb of Qin Shi Huang, China)

চীনের প্রথম সম্রাট ও কিন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ‘কিন শি হুয়াং’ এর (Emperor Qin Shi Huang) মৃত্যুর পর তাকে সমাহিত করা হয়েছিল একটি পিরামিডের মাটির নিচের গভীর কবরে। প্রায় ২০০০ বছর আগের এই সমাধিস্থলটি পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কারগুলোর মধ্যে একটি, তবে এখন পর্যন্ত এটি ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে এক রহস্য হিসেবেই রয়ে গেছে! সম্রাটের পুনর্জন্ম হবে এই বিশ্বাসে কবরের সাথে দিয়ে দেয়া হয়েছিল সম্রাটের প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র সহ মাটির তৈরী বিশাল সৈন্যদল (Terracotta Army)! সমাধির সেসব জিনিসপত্র সহ বিভিন্ন বিষয়বস্তু এখনো সিলগালা এবং অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেছে। সম্রাটের অভিশাপের ভয়ে অনেকেই এসব জিনিসপত্রে হাত দিতে ভয় করে, শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এমন কিছু পদার্থের উপস্থিতিও নাকি এখানে রয়েছে! প্রাচীন কিছু বিশ্বাস আর সম্রাটের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই চীন সরকার সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ সহ সমাধিস্থলে খনন কাজ পর্যন্ত বন্ধ করে রেখেছে!
৫। রাশিয়ার মেট্রো-২ (Metro-2, Russia)

রাশিয়ার মস্কো (Moscow) নগরীর ব্যস্ততম রাস্তাগুলোর নিচে ‘মেট্রো-২’ (Metro-2) নামের একটি গোপন ও জটিল আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো সিস্টেম ছড়িয়ে আছে! এটি ‘D6’ কোড নামেও পরিচিত! গোপনে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যোগাযোগের জন্য স্টালিনের রাজত্বকালে এই মেট্রো লাইনটি নির্মান করা হয়েছিল। সাধারণ মেট্রোগুলোর চেয়ে এই মেট্রো সিস্টেমটির গভীরতা প্রায় ২১০ মিটার বেশি। কিছু তথ্য অনুযায়ী এই মেট্রোর টানেল গুলো সরকারি সহ বেশ কিছু প্রশাসনিক জায়গায় গিয়ে মিলিত হয়েছে, এদের মধ্যে এয়ারপোর্টও রয়েছে! অনেকেই অনুমান করেন এর ভিতরে অত্যাধুনিক ও প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা স্বজ্জিত কিছু অ্যাপার্টমেন্ট আর কক্ষও রয়েছে, যেগুলো যুদ্ধের সময় প্রয়োজন হলে গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিরা আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করত! এই গোপন মেট্রোর একটি বড় আকর্ষন হচ্ছে, টানেল এ ব্যবহৃত একটি ট্রেন কংক্রিটের নিচে চাপা পরে আছে এবং এর ভিতরে বিবর্তিত ইঁদুর আর অশরীরীর আনাগোনার কথাও শোনা যায়! পরিত্যাক্ত টানেল গুলোর দিকে যাওয়া এখন নিষিদ্ধ করা হয়েছে!
৪। ডুলস ঘাঁটি (Dulce Base, Mexico, USA)

ডুলস (Dulce) নিউ মেক্সিকোর কলোরাডো সীমান্তের নিকটে অবস্থিত অদ্ভুত একটি শহর! প্রায় ২৬০০ নেটিভ আমেরিকান জনসংখ্যার এই শহরের ভৌগলিক সুবিধার কারনে এখানে ভূগর্ভস্থ একটি ঘাঁটি রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়! এই আন্ডারগ্রাউন্ড ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক এবং অকল্পনীয় প্রযুক্তির ব্যবহার করে বিশেষ এক পরীক্ষাগার নির্মাণ করা আছে যেখানে অবিশ্বাস্য সব বস্তু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়! এখানে গবেষনার অন্যতম বিষয় হচ্ছে এলিয়েন, মানুষ আর প্রানীর সংকর তৈরী সহ আরো বিতর্কিত কিছু বিষয়! এই ঘাঁটিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে নিষিদ্ধ জায়গাগুলোর মধ্যে একটি এবং এর আশেপাশের খুবই কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের মনের রহস্যকে আরো বেশি ঘনীভূত করে রেখেছে!
৩। ইতালির পোভেগ্লিয়া (Povegila Island, Italy)

পোভেগ্লিয়া (Poveglia) মূলত একটি দ্বীপের নাম যেটা ইতালির পূর্ব উপকূলের ভেনিস ল্যাগুনের দ্বীপগুলোর মধ্যে একটি। দ্বীপের কথা শুনলেই মনের পর্দায় আমরা যেসব দৃশ্য দেখতে পাই এটা মোটেও তেমন কোন দ্বীপ নয়, ইতালির ‘মোস্ট হন্টেড প্লেস’ নামে পরিচিত এই পেভোগ্লিয়া! এই অন্ধকার খ্যাতিটি এসেছে এর মৃত্য আর বীভৎসতার ঘটনায় ভরা অতীত থেকে! শতাব্দী জুড়ে প্লেগ রোগে আক্রান্ত হাজার হাজার মৃত আর জীবিত মানুষকে এনে ফেলে রাখার কাজে ব্যবহার করা হত দ্বীপটিকে, আগুন জ্বালিয়ে কিংবা বড় বড় গর্ত করে ফেলে দেয়া হত লাশদের! উনিশ শতকের দিকে দ্বীপের ভবনগুলিকে হাসপাতাল বানিয়ে এখানে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেয়া হত, কিন্তু চিকিৎসার নামে এক ডাক্তার রোগীদের উপর ভয়ানক অত্যাচার করত বলে শোনা যায়। তার বিভিন্ন গবেষণা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলত এখানকার রোগীদের উপর, অনেক রোগী আর ডাক্তারের আত্নহত্যার ঘটনাও ঘটে এখানে! এরপরই দ্বীপটিকে ঘিরে একটি ভুতূরে আর গা-ছমছমে অবস্থার সৃষ্টি হয়, স্থানীয়রা দ্বীপটিকে খারাপ আত্না দ্বারা অভিশপ্ত বলে মনে করে! সরকারিভাবে এখন দ্বীপটিতে সাধারন মানুষের আনাগোনা নিষেধ আছে।
২। চেরনোবিল, ইউক্রেন (Chernobyl, Ukraine)

১৯৮৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘চেরনোবিল’ পারমাণবিক বিদ্যুটকেন্দ্রে সংগঠিত হওয়া ভয়াবহ পারমানবিক দুর্ঘটনাটি চেরনোবিল বিপর্যয় (Chernobyl Disaster) নামেই বেশি পরিচিত। মানবসৃষ্ট এই দূর্ঘটনাটিকে পৃথিবীর স্মরনকালের শিল্প দূর্ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় হিসেবে গণ্য করা হয়! চেরনোবিল বর্তমানে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্ত। ঘটনার দিন সংঘটিত বিস্ফোরনের ফলে পারমাণবিক বিক্রিয়ায় তৈরী পদার্থ ও বিকিরণ আশেপাশের বেশকিছু জায়গায় ছড়িয়ে পরে। মানুষ ও পশুপাখির মৃত্যুসহ বেশ ভালো রকমের ক্ষয়ক্ষতি হয়। বর্তমানে চেরনোবিল শহরটি পরিত্যক্ত, প্রায় ৫০ মাইল এলাকাজুড়ে কেউই বাস করেনা! এখানে ছড়িয়ে পরা তেজষ্ক্রিয় পদার্থ হাজার বছরেও দূর হবেনা, চেরনোবিলে বর্তমানে বেঁচে থাকা প্রানীদের আস্বাভাবিক শারীরিক ঘঠনের কথাও শোনা যায়! গবেষক ও রিকভারি কর্মী ছারা সাধারন মানুষের অনুপ্রবেশ এখানে নিষিদ্ধ রয়েছে।
১। এরিয়া ৫১ (Area 51)

প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত এমন জায়গাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও রহস্যাবৃত জায়গাটি মনে হয় এই ‘এরিয়া ৫১’ (Area 51)! নেভাদা মরুভূমির মাঝখানে লুকানো এই অঞ্চলটি একটি গোপন মার্কিন সামরিক ঘাটি যার উদ্দেশ্য সাধারন মানুষের কাছে সবসময়ই রহস্যময়! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি এই সামরিক ঘাটিতে তারা অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধ বিমানের উদ্ভাবন আর পরীক্ষামূলক কাজ করে থাকে। তবে সাধারন মানুষ ও ষড়যন্ত্রের তাত্বিকরা এই কথায় বিশ্বাস করতে নারাজ, এমনকি এই অঞ্চলটিকে ঘিরে রয়েছে তাদের নানান জল্পনা-কল্পনা আর অনুমান। তাদের বিশ্বাস এই ঘাটির অভ্যন্তরে এলিয়ে্নদের নিয়ে গবেষনা আর পৃথিবীর বাইরে যোগাযোগ নিয়ে গোপনে কাজ করা হয়, এমনকি এলিয়েনরা নাকি মার্কিনিদের সাথে এখানে এসেই যোগাযোগ করে! এই অঞ্চলের আশেপাশে অনেকেই এলিয়েন আর উরন্ত ফ্লাইং সসার ওঠানামা করতে দেখেছে বলে দাবি করে! তবে ঘটনা যাইহোক, ঘাঁটিটির কেউ চায়না সাধারণ মানুষ জানুক এর ভিতরে আসলে কি হচ্ছে আর সবসময়ই সাধারণ মানুষকে এর আশেপাশ থেকে কঠোরভাবে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে!
ভ্রমন কিংবা রহস্য পিপাসু মানুষের জন্য ভাবতে হয়তো কষ্ট হচ্ছে যে, আধুনিক এ সময়ে এসেও অলৌকিক, প্রাকৃতিক কিংবা সম্পূর্ন গোপনীতার কারনে কত কিছুই দেখা যাবেনা, জানা যাবেনা! অথচ সে সমস্ত ক্রিয়াকলাপ গুলোই যেন আমাদের জানার কৌতূহলটাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে, নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলেই যেন সেদিকে পা-বাড়ানোর ক্ষুধাটাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর নিষিদ্ধ নির্জন সে জায়গা গুলোও কেমন যেন হাত ছানি দিয়ে ডাকছে!
Featured image source: scoopwhoop.com